কোথা থেকে কীভাবে এল ‘কারাগার’ ধারণাটি

bcv24 ডেস্ক    ০৫:৪৬ পিএম, ২০২২-০২-০২    75


কোথা থেকে কীভাবে এল ‘কারাগার’ ধারণাটি

কারাগার এমন একটি আবাসস্থল, যেখানে আসামীদের রাখা হয় শাস্তি ও সংশোধনের জন্য।  গাউল, জেল, দ্য বিগ হাউজ, দ্য স্ল্যামার অথবা দ্য স্টোনি লোনসাম নামেও পরিচিতি রয়েছে কারাগারের। অপরাধের জন্য শাস্তি ও শাস্তির জন্য বাহিনী ও কারাগার। এ ধারণাটি এলা কোথেকে।

“রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’’

এই স্লোগানটি বাংলাদেশের কারাগারগুলোর মূল ফটকে বড় অক্ষরে লেখা থাকে। কারাগার দেখলেই মনে হয় এখানে সব ভয়ংকর লোকের বসবাস। আবার মাঝে মধ্যেই সংবাদপত্র বা টেলিভিশনে খবর মেলে নিরপরাধ মানুষ তার জীবনের সব রঙিন সময় হারিয়ে ফেলেছে কারাগারের চার দেয়ালের মধ্যে। কারাগার কি আসলেই আলোর পথ দেখাতে পারে? নিরাপত্তা এখানে কতটুকু মেলে? কোথা থেকে আসলো এই বন্ধ কুঠরীর ধারণা? এমন হাজার প্রশ্নের উদ্ভব হয় আমাদের মনে প্রতিনিয়ত।

কারাগার বা জেলের আরও পরিচিতি আছে সংশোধনাগার, লক-আপ বা রিমান্ড সেন্টার হিসেবে। বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় অনাচারের মাত্রা বেড়েই চলেছে। ফলে আইনী সংস্থাগুলোর হাত ধরে কারাগারের সংখ্যা বাড়ছেই। এছাড়া পাশ্চাত্য সভ্যতার আগ্রাসনের ফলে প্রায়শই শোনা যায় ভয়ংকর কিছু কারাগারের নাম। যেখানের অত্যাচারের গল্প শুনলে ভয়ে গা শিউরে ওঠে। আবার এমনও হচ্ছে, যেখানের কারাগার তুলে দিয়ে লাইব্রেরি তৈরি করছে সেখানের সরকার। কোনো কোনো রাষ্ট্রে কয়েদখানা থাকলেও নেই কোনো কয়েদি।

কারাগার শব্দটি সারা বিশ্বের মানুষের মনে তৈরি করে রেখেছে ভীতিকর আগ্রহ। প্রায়ই লোকজনের মুখে প্রতিপক্ষের দম্ভ কমাতে শোনা যায়, তোরে এইবার লাল দালানের ভাত খাওয়ামু! কোথা থেকে এলো শাস্তির এই মডেল!

কিভাবে এলো কারাগার:

মূলত রাষ্ট্রীক কাঠামো ঠিক রাখতে, মানুষের অপরাধ প্রবণতা কমাতে, কৃতকর্মের শাস্তি হিসাবে কারাগারের ব্যবহার করে রাষ্ট্র। প্রাক আধুনিক যুগে ইউরোপে একটি সাধারণ শাস্তি ছিল দাস বানানো।

অপরাধী অপরাধ করলে তার যেমন শাস্তি দরকার তেমনি দরকার সংস্কারেরও। এই সংস্কারের জন্য শাস্তি ব্যবহার করার ধারণা তৈরি করতে শুরু করেছিলেন প্রাচীন গ্রীক দার্শনিকরা। ধারণা করা হয় ,এই শাস্তি বিধান প্রথা তারা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতেন। বিচারে যারা জরিমানা দিতে ব্যর্থ হতো তাদের জন্য প্রাথমিকভাবে জরিমানা হিসাবে কারাদণ্ড ব্যবহার করার বিধান করেছিলেন তারা। যখন দরিদ্র গ্রীসের নাগরিকরা জরিমানা দিতে ব্যর্থ হচ্ছিল তখন তারা সরকারকে এর শাস্তি হিসেবে অনির্দিষ্টকাল কারাবাসের দণ্ডবিধান করতে সম্মত করান। পরবর্তিতে তারা অপরাধের মাত্রা হিসেবে কারাগারে থাকার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়। প্রাচীন এথেন্সের কারাগারটি পরিচিতি ছিল ডেসমোটেরিয়ন (desmoterion) বা শেকলের জায়গা নামে।

রোমানরা কারাগারকে শুধু আটকে রাখার যায়গা নয়, ব্যবহার করতেন শাস্তি হিসেবে। বন্দীদের রাখার জন্য তারা ধাতব খাঁচা, পাবলিক ভবনের বেসমেন্ট এগুলো ব্যবহার করতেন। রোমান কারাগারগুলোর মধ্যে অন্যতম মামারটিন কারাগার। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৬৪০ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে। এই কারাগারটির অবস্থান ছিলো প্রাচীন রোমের একটি নর্দমার মধ্যে। এই কারাগারগুলোতে ছিলো না কোনো ধরনের মানবিক বা মৌলিক অধিকারের ব্যবস্থা।   

কারাগার শব্দটির উৎস ইংরেজি শব্দ প্রিজন (prison)। প্রাচীন ফরাসী শব্দ প্রিসাউন থেকে উৎপত্তি হয়েছে এর। এটি এমন একটি বিশেষ আবাসস্থল, যেখানে অভিযুক্ত এবং সাজা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা অবস্থান করেন। কারাগারের পরিচিতি রয়েছে গাউল, জেল, দ্য বিগ হাউজ, দ্য স্ল্যামার অথবা দ্য স্টোনি লোনসাম নামেও। কারাগারে অপরাধী ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরায় বাধাগ্রস্ত হন। বঞ্চিত হন মৌলিক স্বাধীনতা ভোগের অধিকার থেকে। কারাগার পরিচালিত হয় সরকার কর্তৃক।

লন্ডনের সেইন্ট ব্রিগিড'স ওয়েলকে (Saint Brigid's Well) বিবেচনা করা হয় পৃথিবীর প্রথম কারাগার হিসেবে। ১৫৫২ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৫৯৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার এ ধরনের আরো কয়েকটি কারাগার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে এসে গ্রেট ব্রিটেনের প্রত্যেক কাউন্টিতে কারাগার তৈরির পরিকল্পনা করে তারা।

সমাজ সংস্কারক জন হাওয়ার্ড ১৭৭৩-১৭৯০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় কারাগারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন। সংগ্রহিত তথ্যের আলোকে নানান সংস্কার প্রস্তাব করেন তিনি। তাঁর তথ্যবহুল লেখালেখির ফলে কারা ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু পরিবর্তন হয়। ১৮১২ সালে ইংল্যান্ডে মিলব্যাংক (Millbank) নামে প্রথম রাষ্ট্রীয় কারাগার প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রথমদিকে কারাগারগুলোতে বন্দীদের দৈহিক পরিশ্রম করতে হতো। আঠার শতকে ইংল্যান্ডে গোল (Goal) বা জেলখানাকে মৃত্যু কুঠুরি হিসেবে বিবেচনা করা হত। প্রায় আলো বাতাসহীন ঘরে একত্রে রাখা হতো নারী-পুরুষ সবাইকে। অনেক নারী সে সময়ে অত্যাচারের শিকার হয়। ফলে পরিবর্তন আসে এই ব্যবস্থায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া অঙ্গরাজ্যে ১৭৯০ এ ওয়ালনাট স্ট্রিট জেল (Walnut Street Jail) নামে প্রথম রাষ্ট্রীয় কারাগার নির্মাণ করা হয়। ১৭৯৬ খ্রিষ্টাব্দে নিউইয়র্ক সিটিতে এবং ১৮২৯ খ্রিষ্টাব্দে ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে কারাগার স্থাপিত হয়। সেখানে বন্দীদের জন্য স্কুলের ব্যবস্থা ছিল। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে স্থাপিত কারাগারে বন্দীদের ভালো আচরণের জন্য মাসে ২ দিন জেল মওকুফ ও খারাপ আচরণের জন্য কয়েক ধরনের শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। ভারমোন্ট কারাগারে প্রথম আত্মীয়স্বজনদের চিঠি লেখার সুযোগ দেয়া হয়।

সম্রাট অশোকের সময়ে ভারতবর্ষে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত বন্দীদের তিন দিন একটা কুঠুরিতে বেঁধে রাখা হতো। মুগল আমলে কেল্লাসমূহে ছোট আকারে কিছু কয়েদখানা ছিল। সেসব জেলখানা নিয়ন্ত্রণ করতেন তৎসময়ের পদস্থ ব্যক্তিরা। জমিদারি প্রথায়ও ছোটো ছোটো কারাগারের ব্যবস্থা ছিল।

কারা ব্যবস্থাপনা নতুন আঙ্গিক লাভ করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে। রাজবন্দীদের আটকে রাখার জন্য ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দে বেঙ্গলবিধি জারি করে ব্রিটিশ রাজ। ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দে বিভিন্ন জেলায় এবং মহকুমা সদরে কারাগার নির্মাণ করে তারা। বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা, রাজশাহী, যশোর ও কুমিল্লার কারাগার সে সময়ে নির্মিত। ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দে কোড অফ রুলস (Code of Rules) মাধ্যমে সকল কারাগার পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার মধ্যে সমন্বয় করা হয়। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিলে ভারতের বাকুড়ায় কিশোরদের জন্য প্রথম বোর্স্টাল ইনস্টিটিউট (Borstal Institute) স্থাপিত হয়। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে অবিভক্ত বাংলার কলকাতা প্রেসিডেন্সি, আলীপুর, মেদিনীপুর, ঢাকা ও রাজশাহীতে অবস্থিত কারাগারগুলিকে কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকার।

বাংলাদেশের কারাগার:

১৯৭১ এ দেশ স্বাধীনের পর ৪টি কেন্দ্রীয় কারাগার, ১৩টি জেলা কারাগার এবং ৪৩টি উপ-কারাগার নিয়ে বাংলাদেশে কারাগার-এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে এগারটি কেন্দ্রীয় কারাগার রয়েছে। কারাগারগুলো হচ্ছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২, ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার, রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার ও বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার। কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার কারাগারের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জেলা কারাগারে জেল সুপার বা জেলার বা ডেপুটি জেলার এ দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

কারাগারে যাদের রাখা হয়:

আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক আটক বা গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে সাধারাণত কারাগারে রাখা হয়। আদালতের রায়ের আগ পর্যন্ত অপরাধী হিসেবে আটক বা গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে চাইলে আদালত কারাগারে রাখতে পারে। তবে শর্ত হলো, আইন শৃংখলা বাহিনির ওই ব্যক্তিকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করতে হবে। আদালত যদি মনে করে যে ব্যক্তিকে জেরা বিহীন অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে তবে তাকে কারাগারে পাঠানো হতে পারে। আটক ব্যক্তিকে যদি আদালত বিপদজনক মনে করেন তবে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। জামিনযোগ্য হয়েও যদি আটক ব্যক্তি প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করতে অপরাগ হন তবে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। ব্যক্তিকে যদি কারাগারে রাখা হয় তাহলে তিনি প্রিজনার নামে আখ্যায়িত হন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের ক্ষেত্রেও প্রিজনার শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে যদি তিনি অপরাধের জন্য অপরাধী হিসেবে ঘোষিত হন। এছাড়াও,মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তিকেও ফাঁসীতে ঝুলানোর পূর্ব পর্যন্ত কারাগারে অন্তরীণ রাখা হয়।

কারাগারে বন্দী ব্যবস্থাপনা:

কারাগারে সাধারণত পুরুষ ও নারী বন্দীদের পৃথক স্থানে অথবা পৃথক কারাগারে আটক রাখা হয়। ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে এদেরকে সিভিল বন্দী, বিচারাধীন বন্দী, মহিলা বন্দী, ২১ বছর নিম্ন বয়সের পুরুষ বন্দী, বয়ঃসন্ধিতে উপনীত না হওয়া পুরুষ বন্দী এবং অন্যান্য সাজাপ্রাপ্ত পুরুষ বন্দী হিসেবে ভাগ করা হয়। যে সব বন্দীদের বিচারকার্য শেষ হয়নি বা নির্ধারিত তারিখে যাদের আদালতের সম্মুখে হাজির করতে হয় তারা হাজতি বন্দী হিসেবে পরিচিত। আর যারা বিচার শেষে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে যারা কারাগারে আটক থাকে তারা কয়েদি বন্দী। নিঃশ্ছিদ্র নিরাপত্তা রক্ষাকল্পে কারাগারে থাকে উঁচু দেয়ালের বেষ্টনী। সদর দরজায় থাকে ভারী পাল্লা। এছাড়াও নিয়ন্ত্রণজনিত কারণে কারাগারের অভ্যন্তরের দরজাগুলোতে তালা মেরে রাখা হয়। কারাকক্ষের পরিচিতি সেল নামে। এই ক্ষুদ্র তালাবদ্ধ কক্ষে থাকে বন্দীদের ঘুমানোর ব্যবস্থা। ব্যবস্থা থাকে বাঙ্ক বেড টয়লেট এবং সিঙ্কের। প্রতিদিনই আটককৃত ব্যক্তিদের কক্ষ ত্যাগের অনুমতি দেয়া হয় শরীর চর্চার জন্যে। কারাগারে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের পরিচিতি কারারক্ষী হিসেবে। তারা বন্দীদের দেখভালের দায়িত্ব পালন করেন। কারাগারের পরিচালক ওয়ার্ডেন বা জেলার নামে পরিচিত। হাজতি ও কয়েদি হিসেবে বন্দীরা কারাগারে আসে।

কারাগারে যেভাবে কাটে বন্দীদের জীবন:

শারীরিক যোগ্যতা ও পূর্ব অভিজ্ঞতা বিবেচনায় কারাগারে বিভিন্ন কাজ করে কয়েদিরা । এসব কাজের মধ্যে রয়েছে, ওয়ার্ড পরিচালনা, বন্দী পাহারা, কারা হাসপাতালের রাইটার, পত্র লেখক, রান্না, পানি সরবরাহ, ধোপা, বই বাঁধাই, নাপিত, সুইপার, কামারের কাজ। বেত, বাঁশ দিয়ে নানান শৌখিন পণ্যও তৈরি করে তারা। তাঁতে তৈরি করে নানান কাপড়। হাজতি বন্দীদের সাধারণত কোনো কাজ করানো হয় না। বন্দীদের নামের আদ্যাক্ষরের ক্রমানুসারে বয়স ভেদে তাদের রাখা হয় পৃথক ওয়ার্ডে।

কারাগারে চিত্তবিনোদন:

কারাগারকে যেহেতু অপরাধীদের আলোর পথ দেখানোর প্রয়াশ মনে করা হয় এবং যেহেতু একে বলা হয় সংশোধনাগার তাই এতে থাকে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা। বিনোদনের জন্য প্রতিটি কারাগারে ইনডোর ও আউটডোর খেলার ব্যবস্থা থাকে। প্রতিটি কারাগারের বন্দী ব্যারাকে  থাকে টেলিভিশন দেখার ব্যবস্থা। এছাড়াও প্রতিটি কারাগারে লাইব্রেরি, ব্যায়ামাগার, ছোট্ট পরিসরে হাসপাতাল,ভিজিটিং রুম এবং রান্না ঘর থাকে। কারাগারে বন্দীদের চিকিৎসার জন্য প্রেষণে ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট, জেল নার্স দায়িত্ব পালন করে থাকে। দেশের প্রতিটি জেলখানায় বন্দীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হয়। ভিজিটিং রুম বরাদ্দ থাকে বন্দীদের পরিবার এবং  আইনজীবীদের পরিদর্শনের জন্য। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘ বন্দীদের মানবিক চিকিৎসাসেবা প্রদানে আইন করে। কারা প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের বিভিন্ন অভিযোগ বা অসুবিধার কথা কর্তৃপক্ষের নিকট তুলে ধরেন দরবার পদ্ধতির মাধ্যমে।

কারাগারের উদ্দেশ্য:

মানুষকে শাস্তি দেয়ার জন্যই সৃষ্টি হয়েছিলো কারাগারের। যুগ বদলেছে, এখন রাষ্ট্র কারাগারকে সংশোধনাগার বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে। তাই বদলে যাচ্ছে কারাগারের উদ্দেশ্যও। বর্তমানে কারাগার শুধুমাত্র শাস্তি প্রদানের স্থান নয়, বিবেচিত হচ্ছে অপরাধীদের সংশোধনাগার হিসেবেও। বন্দীদের সার্বিক পুনর্বাসন ও সমাজে যাতে তারা প্রতিষ্ঠা পেতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রতিটি কারাগারে প্রেষণামূলক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের আওতায় মহিলা বন্দীদের কাঁথা সেলাই, কাগজের প্যাকেট, খাম তৈরি, বাজারের ব্যাগ তৈরি, টেইলারিং ও সূচিশৈলী শিক্ষা দেওয়া হয়। পুরুষ বন্দীরা ব্যানার বা সাইনবোর্ড লিখন, মৎস্য চাষ, কাগজের প্যাকেট তৈরি, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি মেরামত বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়। নিরক্ষর বন্দীদের গণশিক্ষার মাধ্যমে অক্ষর জ্ঞান এবং কারাগার মসজিদের ইমামের মাধ্যমে বন্দীদের ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হয়।

সামরিক কারাগার, কারাগারের আরেক ধরন:

পৃথিবীর প্রতিটি সামরিক বাহিনির সদস্যদের আলাদা কানুন রয়েছে। তাদের কোনো সদস্য সামরিক আইন ভঙ্গ করলে তাদের বিচার সামরিক আদালতেই হয়। তাই সামরিক বাহিনির অপরাধীদের জন্য যে বিশেষ কারাগার রয়েছে তা পরিচিত সামরিক কারাগার নামে। সাধারণত যুদ্ধাপরাধী, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত সেনা সদস্য বা জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকি সৃষ্টিকারী সেনা সদস্যদের বিচার করা হয় সামরিক আদালতে। গুরুতর অপরাধে সেনা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এ ধরনের কারাগার সামরিক বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত হয়। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে এমপি বা মিলিটারি পুলিশ ।

সামরিক কারাগার দুই ধরনের হয়ে থাকে-

পেনাল, যা শাস্তি। তবে এখানে অপরাধীকে সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রেখে সংশোধনের চেষ্টার করা হয়।

যুদ্ধ চলাকালে ধরা পরা ও অবরুদ্ধ শত্রু সেনাদেরকে সামরিক কারণে যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আটকে রাখার জন্য।

বন্দীদের খাবার:

জেলখানার বন্দীদের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৩ বার খাবার দেওয়া হয়। সকালের নাস্তায় গুড়-রুটি, দুপুর ও রাতের খাবারে ভাতের সাথে মাংস বা মাছ, সবজি বা ডাল দেওয়া হয়। ১ম ও ২য় শ্রেণির বন্দীরা সাধারণ শ্রেণির বন্দীদের চাইতে মানসম্পন্ন খাবার পেয়ে থাকে। তবে জেল হাসপাতালের রোগীদের রোগের ধরন অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা হয়।

কারাগারে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি:

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের সাজা কার্যকর হয় কারাগারে। বিধি অনিযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ভাল করে গোসল করিয়ে যার যার ধর্ম অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাওয়ানো হয়। এরপর তাকে নির্ধারিত সময়ে নিয়ে যাওয়া হয় ফাঁসির মঞ্চে। সেখানে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির গলায় রশি পরিয়ে ফাঁসির মঞ্চে চড়িয়ে জেল সুপারের হাতে থাকা রুমাল মাটিতে ফেলে দেওয়ার মাধ্যমে জল্লাদ লিভার ঘুরিয়ে ফাঁসি কার্যকর করেন। এ সময়ে জেলসুপারসহ একজন ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট, ডাক্তার ও সংশ্লিষ্ট লোকজন উপস্থিত থাকেন। বাংলাদেশে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান চালু আছে। দেশের প্রতিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং পুরাতন জেলাগুলির জেলখানাতেও ফাঁসির মঞ্চ আছে। উনিশ শতক পর্যন্ত অপরাধীকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলানো হতো। কিন্তু পরবর্তীকালে ফাঁসি কার্যকর করার প্রক্রিয়া কারাগারের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেসব রাজ্যে ‘বন্দুক সংস্কৃতি’ প্রচলিত ছিল সে সব রাজ্যে ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ ছিল। ১৯৭৬ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী ইনজেকশন প্রয়োগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে।

পৃথিবীর ভয়ংকর কারাগার:

গুয়ান্তানামো বেঃ ১৮৯৮ সালে স্পেন-আমেরিকা যুদ্ধের সময় আমেরিকা স্পেনের কাছ থেকে পুরো কিউবার নিয়ন্ত্রণ নেয়। ১৯০৩ সালে কিউবার সাথে মার্কিনীদের এক চুক্তি হয়, সেই চুক্তির আওয়াতায় দক্ষিণ কিউবার গুয়ান্তানামো বে’তে ৪৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার সাগর এলাকা মার্কিনিরা ইজারা নেয়। পরবর্তীকালে সেখানে তারা একটি নৌঘাটি নির্মাণ করে। সেই নৌ ঘাটিতেই ২০০২ সালে ইতিহাসের সবচাইতে কুখ্যাত এই কারাগারটি খোলা হয়। বন্দিদের আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে তথ্য আদায়ের লক্ষ্যেই এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ট্যাডমোর কারাগার: সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও খারাপ কারাগার মনে করা হয় সিরিয়ার ট্যাডমোর কারাগারকে। ট্যাডমোর মিলিটারি বন্দীশালাকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ‘বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাচারী বন্দীশালা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। সিরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মরুভূমিতে এ কারাগারটি অবস্থিত।

গিতারামা কারাগার:  এই কারাগারের অবস্থান আফ্রিকায়। আফ্রিকার এ কারাগারটিকে বলা হয় `রুয়ান্ডার দুঃস্বপ্ন`। আফ্রিকার একটি রাজ্য রুয়ান্ডায় অবস্থিত এ কারাগারটি বিশ্বের আরেকটি ভয়ঙ্কর কারাগার হিসেবে কুখ্যাত।

কান লি সো নম্বর ২২ কারাগার: এটিই পৃথিবীর একমাত্র কারাগার যেখানে শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের বন্দী রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার একটি কুখ্যাত কারাগার এটি।

লা সান্তে: এই কারাগারটি ফ্রান্সে অবস্থিত। কারাগারটিকে নরকের গর্ত বলা হয়। আক্ষরিক অর্থেই এটিকে নরকের গর্ত বলা যেতে পারে কারণ এই কারাগারের জনাকীর্ণ সেলগুলোর ভয়ঙ্কর অবস্থা। আর এই কারাগারের সেলগুলোর ভেতর ইঁদুর, উকুন আর পোকামাকড়ে ভরা। যে কোন সুস্থ মানুষও এই কারাগারের ভেতর ঢুকলে দু-চার দিনের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়বে।

লুজিয়ানা পেনিটেনশিয়ারি: আমেরিকার লুজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে এ কারাগারটি অবস্থান। লুজিয়ানা স্টেট পেনিটেনশিয়ারি শীর্ষক এই কারাগারটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংবলিত বৃহত্তম কারাগার। এটিকে বলা হয় দক্ষিণের আলকাট্রজ। দ্য ফার্ম অথবা এলএসপি নামেও এই কারাগারের আলাদা পরিচিতি রয়েছে।

সাবানেতা কারাগার: এই কারাগারটি ভেনেজুয়েলায় অবস্থিত।ভেনিজুয়েলার সবচেয়ে ভংকর কারাগার এটি। একাধিক অস্ত্রধারী গ্যাং এই কারাগারটি নিয়ন্ত্রণ করে।

রিকার্স আইল্যান্ড: রিকার্স আইল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম কারাগার। এখানে মূলত অল্পমেয়াদি দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামিদের, কিংবা বিচারকার্য চলছে এরকম অভিযুক্তদের রাখা হয়। এটি আমেরিকা তথা বিশ্বেরই অন্যতম কুখ্যাত একটি কারাগার।

ব্যাং ক্বং প্রিজন: ব্যাংককে অবস্থিত ব্যাং ক্বং কারাগারটি কারাবন্দীর সংখ্যার তুলনায় পৃথিবীর অন্যতম স্বল্প অর্থায়ন করা কারাগার। যে অর্থ এই কারাগারের জন্য সরকার বরাদ্দ দেয়, তার বড় অংশই চলে যায় কারাকর্তৃপক্ষের ভরণপোষণে। বাকি অর্থে কারাবন্দীদের ন্যূনতম মানবিক সুযোগসুবিধা দেয়াও সম্ভব হয় না। দিনে একবেলা খাবার দেয়া হয়, তা-ও কেবল একবাটি ভাত আর স্যুপ!

পেটাক আইল্যান্ড প্রিজন: রাশিয়ার ভোলগডা অঞ্চলে হোয়াইট লেকের মাঝে অবস্থিত পেটাক আইল্যান্ড কারাগার রাশিয়ার সবচেয়ে সুরক্ষিত কারাগার। রাশিয়ার সবচেয়ে দুর্ধর্ষ এবং বিপদজনক সন্ত্রাসীদেরই এখানে রাখা হয়। একে অনেকসময় বলা হয়ে থাকে ‘রাশিয়ার আলকাত্রাজ’। পেটাককে বিশ্বের সবচেয়ে অমানবিক কারাগার হিসেবে পরিচিত। এখানে বন্দীদেরকে সারাদিনে কেবল দেড় ঘণ্টা বাইরে বের হবার সুযোগ দেয়া হয়। বাকি সময়টা কাটাতে হয় পাখির বাসার মতো ছোট খুপরির মতো কক্ষে। আর এমন দমবন্ধ বন্দীদশায় একজন আসামি বছরে কেবল দুবার সর্বোচ্চ দুজন করে অতিথির সাথে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট করে সাক্ষাতের সুযোগ পান!

কারাগার আছে কয়েদী নাই:


সুইডেন: নাটকীয়ভাবে কমে যাচ্ছে সুইডেনের কারাবন্দীর সংখ্যা। এখানের কারাগারে বন্দী খড়া চলছে। অনেক কারাগার ফাঁকা পড়ে আছে। তাই দেশটির কর্তৃপক্ষ চারটি কারাগার বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। উদার ও প্রগতিশীল বৈশিষ্ট্যের জন্য সুইডিশ কারাগারগুলোর খ্যাতি বেশ পুরোনো। এখানে অপরাধ কর্মকাণ্ডের হা্র না কমলেও কারাবন্দীর সংখ্যা ছয় শতাংশ হারে কমছে বছরে। বর্তমানে তাদের সংখ্যা সাড়ে চার হাজারের সামান্য বেশি। দেশটিতে দিনের পর দিন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমে যাওয়ার ফলে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে কারাগার। আর এই অবস্থায় বন্ধ হচ্ছে কারাগার।

নেদারল্যান্ডস:


অপরাধ ও দুর্নীতি একবারেই কমে যাওয়ায় ইউরোপ মহাদেশের দেশ নেদারল্যান্ডসে অপরাধীর পরিমাণ শূন্যে নেমে এসেছে। এই দেশের বেশ কয়েকটি কারাগার ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এই দেশে ৩ হাজারেরও বেশি কারাগার রয়েছে। অপরাধের হার প্রতিনিয়ত কমার ফলে ৫ টি কারাগার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির উচ্চ আদালত।

নিউজিল্যান্ড: দেশটিতে অপরাধীর সংখ্যা খুবই কম। তবে দেশটিতে রয়েছে অসংখ্য কারাগার। এখানের কারাগারগুলোতে অপরাধীদের দেওয়া হয় ভিন্নধর্মী সুবিধা। নিউজিল্যান্ডের ওটাহো কারেকসন ফ্যাসিলিটি কারাগারটিতে বন্দীদের দেখতে আসা প্রত্যেককে প্রথমে এক্সরে মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এরপর তাদের বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়। পুরো কারাগারটি মাইক্রোয়েভ তরঙ্গ দিয়ে সেন্সর করা। এখানে প্রত্যেক বন্দীর রয়েছে আলাদা আলাদা কক্ষ। বন্দীদের এখানে রান্না, ইঞ্জিয়ারিং এবং ডেইরি ফার্মের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

লুক্সেমবুর্গ:

ইউরোপ মহাদেশের একটি ক্ষুদ্রায়তন রাষ্ট্র। তবে অবাক করার মত বিষয় হলো, এই দেশটিতে অপরাধী সংখ্যা সাতশ জনেরও কম। দেশটিতে অপরাধী কম হলেও অসংখ্য কারাগার রয়েছে। হাতেগোনা কিছু অপরাধী এখানে রয়েছে। অপরাধী কমে যাওয়ায় দেশটির আদালত ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি কারাগার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

লিশটেনস্টাইন:


মধ্য ইউরোপের একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র। এটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম স্বাধীন রাষ্ট্রগুলির মধ্যে একটি। ৩৪ হাজারের মতো লোকের বাস এই দেশটিতে। এই দেশটির অপরাধীর সংখ্যা অবাক করার মত। এই দেশটিতে মাত্র ১৯ জন অপরাধীর খোঁজ পেয়েছে সেখানের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। কম জনসংখ্যার এই দেশটিতে ২০টির মতো কারাগার রয়েছে যেখানে অপরাধীর সংখ্যা মাত্র ১৯ জন। যেখানে হিসেব করলে দেখে যায় যে, একজন অপরাধীর জন্য একটি কারাগার বরাদ্দ। অপরাধী শুন্যতার কারণে দেশটিতে ৬টি কারাগার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

অপরাধী তার অপরাধের জন্য অবশ্যই শাস্তি পাবে। শাস্তির ব্যবস্থা না থাকলে মানুষের অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাবে, তাই শাস্তির বিধান থাকা জরুরি। তবে, শাস্তি যদি ছোটো অপরাধীকে বড় অপরাধী তৈরি করে সেখানে নতুন করে ভাবার যায়গা তৈরি করে। কারাগার হয়ে উঠুক সংশোধনাগার,এখানে এসে মানুষ কৃতকর্মের জন্য আত্মসমালোচনা করুক। কারাগার হয়ে উঠুক আলোর পথ দেখানোর যায়গা।


রিটেলেড নিউজ

বিশ্বে চতুর্থ রোগী হিসেবে এইডসমুক্ত হলেন তিনি

বিশ্বে চতুর্থ রোগী হিসেবে এইডসমুক্ত হলেন তিনি

bcv24 ডেস্ক

আশির দশক থেকে প্রাণঘাতী এইচআইভিকে সঙ্গী করে বসবাস করে আসা এক রোগীর শরীর থেকে এই ভাইরাস নির্মূল হয়ে... বিস্তারিত

তামাকপণ্যের প্রকৃত মূল্য কমবে, দরিদ্র ও তরুণদের ব্যবহার বাড়বে

তামাকপণ্যের প্রকৃত মূল্য কমবে, দরিদ্র ও তরুণদের ব্যবহার বাড়বে

bcv24 ডেস্ক

প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাকপণ্যের ব্যবহার বাড়বে, সরকারের স্বাস... বিস্তারিত

অস্ত্রোপচারের আগমুহূর্তের আতঙ্ক ও সমাধান

অস্ত্রোপচারের আগমুহূর্তের আতঙ্ক ও সমাধান

bcv24 ডেস্ক

পৃথিবীতে অনেক সৌভাগ্যবান মানুষ আছেন, যাঁদের কোনো দিন কোনো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু এ অ... বিস্তারিত

টুইটার অ্যাকাউন্ট মুছবেন যেভাবে

টুইটার অ্যাকাউন্ট মুছবেন যেভাবে

bcv24 ডেস্ক

টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে মা... বিস্তারিত

প্রধানমন্ত্রী: মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনি বানান

প্রধানমন্ত্রী: মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনি বানান

bcv24 ডেস্ক

বেগুন দিয়ে বেগুনি না খেয়ে আরও যেসব সবজি সহজলভ্য সেটা দিয়ে খেলেই হয়। আমরা তো তাই খাই। বেগুনি না বা... বিস্তারিত

জামিনে কারামুক্ত ইভ্যালির শামীমা

জামিনে কারামুক্ত ইভ্যালির শামীমা

bcv24 ডেস্ক

আলোচিত-সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।ব... বিস্তারিত

সর্বশেষ

তপসিলের পর তেজগাঁও কার্যালয়ে বসবেন শেখ হাসিনা

তপসিলের পর তেজগাঁও কার্যালয়ে বসবেন শেখ হাসিনা

bcv24 ডেস্ক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আলাদা কার্য... বিস্তারিত

১২৪ টাকায়ও রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে ব্যাংক

১২৪ টাকায়ও রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে ব্যাংক

bcv24 ডেস্ক

এক বছর আগে ঘোষিত দরের চেয়ে ১-২ টাকা বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কেনায় ছয়টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্... বিস্তারিত

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৮৯৫

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৮৯৫

bcv24 ডেস্ক

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জন... বিস্তারিত

চোখের ইশারায় কাজ করবে কম্পিউটার!

চোখের ইশারায় কাজ করবে কম্পিউটার!

bcv24 ডেস্ক

চোখের ইশারায় খুলে যাবে অ্যাপ, আঙুলে ছুঁয়ে সরাতে হবে স্ক্রিন। মাথা নাড়ালেই হবে অনেক কাজ। প্রযু... বিস্তারিত